| শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯
আজ ২৯ নভেম্বর।পঞ্চগড় হানাদার মুক্ত দিবস।১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত হয় দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। বাঙলার দামাল ছেলেরা পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে উত্তরের জেলায় উঁচিয়ে ধরেন স্বাধীন বাংলার লাল-সবুজের পতাকা।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের পর পাকবাহিনী সারাদেশে আক্রমণ শুরু করলেও ১৬ই এপ্রিল পর্যন্ত পঞ্চগড় মুক্ত থাকে। পাকবাহিনী সড়ক পথে এসে ১৭ই এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০ টায় পঞ্চগড় দখল করে নেয়। পরবর্তীকালে জেলার ৪ থানা তারা দখলে নিলেও অমরখানায় একটি ব্রিজ ভাঙ্গতে না পারায় তারা তেঁতুলিয়া ঢুকতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়কাল তেঁতুলিয়া মুক্ত ছিল। মুক্ত অঞ্চল হিসেবে তেঁতুলিয়া সকল কর্মকাণ্ডের তীর্থ ভূমিতে পরিণত হয়। অস্থায়ী সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভা তেঁতুলিয়াতেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
২৮শে নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে পাকবাহিনীর উপর ঝড়ো আক্রমণ করেন। এ আক্রমণে পঞ্চগড় শহরের পূর্বদিকে ডিফেন্স নিয়ে থাকা পাকবাহিনী টিকতে না পেরে টুনিরহাট দেবীগঞ্জ ভায়া ডোমার হয়ে কাঁচা রাস্তা ধরে সৈয়দপুর অভিমুখে পিছু হটতে থাকে। ওইদিন রাতে মুক্তি, মিত্র, ট্যাংক ও পদাতিক বাহিনীর সম্মিলিত সাড়াশি আক্রমণে পরাজিত হয়ে পাক বাহিনী পঞ্চগড়ের মাটি ছেড়ে চলে গেলে ২৯শে নভেম্বর ভোরে পঞ্চগড় হানাদার মুক্ত হয়। এদিন পাকবাহিনীর সাথে ভয়াবহ যুদ্ধে ৪৮ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় শতাধিক মিত্র বাহিনীর সদস্য শহীদ হন। আহত হন অনেকে।
দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর এই দিনে পঞ্চগড় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্পঞ্চগড় মুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, বিজয় শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
Posted ৩:৫৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি