| মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
অনলাইন ডেস্ক
ইংল্যান্ডের ব্লাকবার্ন এলাকায় শপিং সেন্টারের বাইরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মুসলিম তরুণী হত্যার শিকার হয়েছেন। ওই তরুণীর নাম আয়া হাশেম (১৯)।আইনের শিক্ষার্থী।লকডাউনে আটকা পরিবারের জন্য বাজার সদাই করতে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন এক দাতব্য সংস্থায়। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই তাকে গুলি করে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। তিনি থাকেন ইংল্যান্ডের ব্ল্যাকবার্ন শহরে। বলা হচ্ছে, তিনি ‘ভুল সময়ে ভুল জায়গায় গিয়েছিলেন তিনি। আর শিকার হন এক নৃশংস হামলার।পুলিশের ধারণা দুর্বৃত্তরা তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি করেনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়া স্থানীয় সলফোর্ড ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের আইন বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাজার করতে এসেছিল। লেবানিস বংশোদ্ভুত ওই তরুণীকে লিডল সুপার মার্কেটের সামনে বিকেল তিনটার দিকে গুলি করা হয়। ওই সুপার মার্কেটটি তার ঘর থেকে এক মাইলেরও কম দূরে অবস্থিত।
পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের ধারণা ওয়েলিংটন রোডে তাকে গুলি করতে একটি টয়োটা অ্যাভেনসিস গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল। গাড়িটি পরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতা কামনা করেছে।
আয়া হাসেম চিলড্রেনস সোসাইটির একজন তরুণ ট্রাস্টি ছিলেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী মার্ক রাসেল বিবিসিকে বলেন, তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণমূলক কণ্ঠ।
ব্ল্যাকবার্ন ও ডারউইন অঞ্চলে আশ্রয়প্রার্থী এবং শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা দাতব্য সংস্থা দ্যা এসাইলাম অ্যান্ড রিফিউজি কমিউনিটি বলেছে, সে কান্ডজ্ঞানহীন একটি আক্রমণের শিকার।
ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে একটি গুলিতে তার মৃত্যু হয়।
আয়ার বাবা ইসমাইল ফেসবুকে মেয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘হে আল্লাহ আমাদের ধৈর্য ও সান্ত্বনা দাও।’
Posted ৩:৫৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি