| বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২০
বিশেষ প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরে কাজ শুরু করেছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দু’জন কর্মী। মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মো. জহিরুল ইসলাম ও স্বাস্থ্য সহকারী মোছা. শারমিন আক্তার ভাইরাস স্ক্যানার না থাকায় শুধুমাত্র থার্মোমিটার দিয়ে অতিরিক্ত জ্বর পরীক্ষা করছেন। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
পঞ্চগড়ের নবাগত সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ডেস্কের কর্মীরা চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াতকারী বাংলাদেশি, নেপালি, ভুটান ও ভারতীয় কোন নাগরিক সম্প্রতি চীন ভ্রমণ করেছেন কি-না সেটি শনাক্ত করছেন। যদি এমন কোন যাত্রীর সন্ধান পাওয়া যায় তাহলে তার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। ভাইরাস শনাক্ত করতে প্রয়োজনে ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই ডেস্কের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রতিদিন দু’জন করে স্বাস্থ্য কর্মী পালাক্রমে এখানে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি জানান, এটি নিয়ে পেনিক সৃষ্টি করা যাবে না। তবে লোকজনদের আশ্বস্ত করতে আশঙ্কা ও ভয়ের কিছু নেই। তারপরও আমরা এখানে এটি বসিয়েছি। বিশেষ করে চীন থেকে কেউ এলে তাকে বিশেষ করে চেকআপ করা হবে। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে আইইডিসিআরকে জানানো হবে। পরবর্তীতের তাদের নির্দেশে অন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা এই ভাইরাস নিয়ে সর্তক রয়েছি। দর্শনীয় স্থানে ব্যানার লাগানো হয়েছে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদুল হক জানান, আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হিসেবে বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ শ’ থেকে এক হাজার যাত্রী ভারত, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশে যাতায়াত করে থাকেন। দেশের সবকটি স্থল বন্দরে করোনা ভাইরাসের ওপর সতর্ক ও নজরদারির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাবান্ধায় এ ভাইরাস পরীক্ষার জন্য এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য মেডিকেল টিম কাজ করছে।
Posted ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি