তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি | মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
প্রতীকী ছবি
তেঁতুলিয়ায় গৃহকর্তার ছেলের একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়ে ৮ মাসের অন্ত:সত্তা হয়ে পড়েছে গৃহকর্মী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এক তরুণী। উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের মুহুরীহাট ভেলকুগছ গ্রামের জয়নাল আবেদীনের পুত্র মাহবুব আলম আবু (২৮) নামের যুবকের বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী তরুণীকে মেনে না নেয়ায় আবুর বিরুদ্ধে রবিবার রাতে মডেল থানায় মামলা করেছেন অন্ত:সত্তা তরুণীর বাবা জয়নাল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর ধরে তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের ভেলকুগছ মুহুরিহাট গ্রামে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের (অব.) সার্ভেয়ার জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ওই তরুণী। সেই সুযোগে বাড়ির মালিকের ছেলে মাহবুব আলম আবু দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবন্ধী তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে করে ওই তরুণী অন্ত:সত্তা হয়ে পড়লে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন ধর্ষক আবু।
গত শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) হঠাৎ ওই প্রতিবন্ধী তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে অন্ত:সন্তবার বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর থেকে ওই তরুণীকে গ্রহণ না করতে বিভিন্ন রকমের টালবাহানা শুরু করে আবুসহ তার পরিবার। মেয়েটিকে আটকে রেখে গর্ভপাতের পরিকল্পনাও করা হয় বলে জানা যায়।
প্রতিবন্ধী তরুণীর বাবা জয়নাল জানান, ঘটনাটি জানার পর ছেলের বাবার সাথে কথা হয়। কিন্তু হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে ও প্রতিবন্ধী হওয়ায় তারা প্রথমদিকে মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে দেয়ার কথা বললেও পরবর্তীতে নাটকীয়ভাবে অস্বীকার করে। বরং অন্ত:সত্ত¡া হওয়ার বিষয়টি জানার পর থেকেই বাচ্চা নষ্ট করার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মেয়েকে ঘরবন্দি করে রাখা হয়। পরে উপায় না পেয়ে রাতে ৯৯৯ নম্বরে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে থানার পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করি। আমি এর ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে সোমবার বিকেলে মডেল থানার ওসি আবু ছায়েম মিয়া জানান, প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা জয়নাল বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯ (১) ধারায় থানায় মামলা করেছেন। বিষয়টি আইনানুগভাবে গুরুত্ব দিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Posted ২:২২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি