বিধান রায়, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) : | বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ডিভোর্স প্রাপ্ত স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষনের অভিযোগে দায়ের করা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক কল্পিত কাহানী নির্ভর মামলায় নিন্দা জানিয়ে উক্ত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার গোপালপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে করেছে মির্জাপুর ইউনিয়নবাসী, ছাত্রলীগ , যুবলীগ, এলাকাবাসী সহ ভুক্তভোগী পরিবার।
মির্জাপুর ইউনিয়নবাসী ব্যানারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বড়শীলা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম লাভলু, উপজেলা ছাত্রলীগ
সভাপতি শফিকুল ইসলাম, শহর ছাত্রলীগ আহবায়ক ফারুখ হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন, সোহানুর রহমান রহমান সোহান, আলমগীর কবীর রাণা, আলফারুখ ক্যাপ লিঃ এর পরিচালক আলাউদ্দীন মাসুদ, লাকী বেগম ও আব্দুর রশীদ।
অনুষ্ঠানে মির্জাপুর ইউনিয়নের কাগুজিআটা, নুটুরচর ও মোহনপুর গ্রামের মাতব্বররা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালে কাগুজিআটা গ্রামের মৃত আনছের আলীর কণ্যা বিথী খাতুনের সাথে একই গ্রামের মৃত আঃ সালামের পুত্র শফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। দাম্পত্য কলহের জের ধরে গত মার্চ
মাসে মৌখিক তালাকে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এমতাবস্থায় শফিকুলের সাথে ঘাটাইল উপজেলার রৌহা গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে আঁখির সাথে বিয়ে ঠিক হয়।
গত ২১ অক্টোবর বুধবার বিয়ে হবার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ের দুদিন আগে গত
১৯ অক্টোবর সোমবার বিকালে বিথী প্রাক্তন স্বামী শফিকুলের বাড়িতে গিয়ে উঠেন। বাড়ির লোকজন তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী বিথীকে ঘরে উঠতে বাধা দেন।
ঝগড়াটার এক পর্যায়ে বিথী শারিরীকভাবে লাঞ্জিত হন। পরে গ্রামবাসির সহায়তায় সন্ধ্যা সাতটার পর তাকে একটি ইজিবাইকে করে বাবার বাড়ি নিয়ে মায়ের হেফাজতে তুলে দেয়া হয়। গ্রামের দুই শতাধিক মানুষ রাত দশটা পর্যন্ত
বিথীদের বাড়িতে তালাক ও পুনঃবিবাহ নিয়ে সালিশ করেন। সালিশের একটি ভিডিও
করা হয়। রাত হয়ে যাওয়ায় সালিশ অমিমাংসিত থেকে যায়।
পরদিন কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং টেলিভিশন চ্যানেলের খবর থেকে গ্রামবাসি জানতে পারেন আগের দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিথী অপহরণ এবং ধর্ষিত হন। কাবিন ছাড়া বাল্য বিয়ে, খোরপোষ ছাড়াই তিন তালাক এবং শফিকুলের দ্বিতীয় বিয়েকে কেন্দ্র করে এ বানোয়াট গণধর্ষনের মামলা হয়।
এতে স্বামী শফিকুল, আপন দুই চাচা ও দুই ভাইকে আসামী করে গত ২০ অক্টোবর গোপালপুর থানায় গণধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত না মেলায় ডিএন এ টেস্টের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানায় মামলার তদন্তকারি অফিসার এবং গোপালপুর থানার ওসি (তদন্ত )কাইয়ুম খান সিদ্দিকী। গ্রামবাসিরা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার, ভুল তথ্য দিয়ে ভাড়াটে মিডিয়াকে দিয়ে অপপ্রচার এবং নিরিহ মানুষকে হয়রানির পায়তারা বন্ধের দাবি জানান।
স্থানীয় একটি চক্র সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য বানোয়াট গণধর্ষণের অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর এ চক্রকে সহযোগিতা দুটি টেলিভিশিন চ্যানেল ও কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল। গোপালপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, সবকিছু মাথায় নিয়ে তদন্ত চলছে। শীঘ্রই বিষয়টি পরিস্কার হবে বলে জানান তিনি।
Posted ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি