| রবিবার, ০৯ আগস্ট ২০২০
সারোয়ার হোসেন নয়ন। পড়াশোনা শেষ করেই হাল ধরেছেন সংসারের। বলা চলে একজন বেকার যুবক। যদিও গ্রামের বাজারে তার ছোট্ট একটি ফার্মেসীর দোকান রয়েছে। কিন্তু এদিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তার। তবে বেকারত্বহীন ভবিষ্যৎ গড়তে চান তিনি। এজন্য নিয়েছেন ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ। বাড়ির পাশেই ১০ শতক জায়গা জুড়ে করেছেন ছাগলের খামার। স্বপ্ন দেখছেন স্বাবলম্বী হওয়ার।
নয়নের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের নহলিয়াপাড়া এলাকায়। সে ওই এলাকার মজনুর রহমানের ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তার খামারে রয়েছে ব্লাক বেঙ্গল ও হরিনাসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ২৫ টি ছাগল। সাথে স্বল্প পরিসরে করেছেন নেপিয়ার ঘাসের আবাদ। ভূষি, ভুট্টার গুড়া আর এই নেপিয়ার ঘাসেই তার ছাগলের প্রধান খাবার। তবে খামারের বয়স প্রায় পাঁচ মাস হলেও এখনো লাভের মুখ দেখেননি স্বপ্নদ্রষ্টা নয়ন।
নয়ন জানান, প্রাথমিক অবস্থায় ২২ টি ছাগল দিয়ে খামার শুরু করেন তিনি। অল্প কদিনের মাথায় পিপিআর নামক একটি ছোঁয়াছে রোগে প্রায় ১০ টি ছাগলের ছানা মৃত অবস্থায় ভূমিষ্ট হয়। এই রোগের উপদ্রবে ঘাটতিতে পড়তে হয় তার। বর্তমান খামারের সব ছাগলই সুস্থ রয়েছে। তাই শীঘ্রই লাভের মুখ দেখবেন বলে আশাবাদী তিনি।
নয়ন বলেন, ইউটিউবে দেখে আগ্রহ জন্মে ছাগলের খামার করার। একই সাথে অনলাইনে অর্ডার করে জামালপুর থেকে নেপিয়ার ঘাসের মূল নিয়ে আসি। গবাদিপশুর খাবার হিসেবে এই ঘাসের বেশ চাহিদা থাকায় নিজস্ব খামারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাতও করছি।
নয়ন আরো বলেন, ওই ১০ টি ছানা যদি সুস্থ থাকতো তাহলে এখন আর আমাকে পিছনে তাকানো লাগতোনা। খামারে বাড়তো ছাগলের সংখ্যাও।
এদিকে, নয়নের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয়রা। তার দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ছাগলের খামার করার।
হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, বেকারত্ব দূরীকরণে নয়নের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
Posted ১:২১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৯ আগস্ট ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি