এবার ডিজিটাল প্লাটফর্মে রূপ নিল তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সকল সেবা। এখন থেকে ইউনিয়ন পরিষদের প্রদত্ত সকল নাগরিক মিলছে অনলাইনেই। যে কোন জায়গা থেকে www.uniontax.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নাগরিকরা আবেদন করতে পারবেন ট্রেড লাইসেন্স, চারিত্রিক সনদ, ভূমিহীন সনদ, ওয়ারিশান সনদ, অবিবাহিত সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, উত্তরাধিকার সনদ, অগভীর নলকূপ স্থাপনের লাইসেন্স। যে কোন ধরনের প্রত্যয়নসহ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ঘরে বসেই মিলছে ১২টি সেবা। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে অনলাইনে সেবাটি চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৫২৩ জন সেবা প্রার্থী এই সেবাটি গ্রহণ করেছেন।

বুধবার উপজেলা প্রশাসনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদ বাংলাদেশে পল্লী অঞ্চলের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক। গ্রাম চৌকিদারি আইনের ১৮৭০ এর অধীনে ইউনিয়ন পরিষদের সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক পর্যায়ের ভূমিকা নিরাপত্তামূলক কর্মকান্ডে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তী কালে এটিই স্থানীস্থানীয় সরকারের প্রাথমিক ইউনিটের ভিত্তিরুপে গড়ে উঠে। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম সনদ, চারিত্রিক সনদপত্র, ভূমিহীন সনদপত্র, ওয়ারিশান সনদপত্র, অবিবাহিত সনদপত্র, প্রত্যয়ন পত্র, অস্বচ্ছল প্রত্যয়ন পত্র, নাগরিক সনদপত্র, উত্তরাধিকার সনদপত্র ইত্যাদি সেবা প্রদান করা হয়।

বহুল প্রচলিত এই সব সেবাকে জনবান্ধব করার জন্য একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রদত্ত সেবাসমূহকে জনগণের দোরগোড়ায় স্বল্প খরচে, স্বল্প সময়ে এবং হয়রানিমুক্তভাবে প্রদান নিশ্চিত করা লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে এই অনলাইন প্লাটফর্মটি তৈরী করা হয়।

ভজনপুর ইউনিয়নের বামনপাড়া গ্রামের ফজলুল হক বলেন, জরুরি প্রয়োজনে তার একটি নাগরিকত্ব সনদ প্রয়োজন ছিল। তিনি ঘরে বসেই অনলাইনে আবেদন করে নাগরিক সদনপত্রটি পেয়েছেন। প্রত্যন্ত এলাকা দ্রæত সময়ে এই সেবা পেয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা জানান।

সদর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আনিছুর রহমান বলেন, তার ইউনিয়নের অধিকাংশ নাগরিক অনলাইন থেকে নাগরিক সেবা গ্রহণ করছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, এক ঠিকানায় সকল সেবা এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে www.uniontax.gov.bd এই অনলাইন পোর্টালটি চালু করা হয়। এর মাধ্যমে সেবাগ্রহিতারা এখন ইউনিয়ন পরিষেদ না গিয়েই বাড়ি থেকেই ইউনিয়ন পরিষদের সেবা সমূহ নিতে পারবেন। এতে সেবাগ্রহীতাদের সময়, খরচ ও ভ্রমণ এই তিন ক্ষেত্রেই সাশ্রয় হবে। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক এই উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান বলেন, ইউনিয়ন ট্যাক্স ডিজিটাল সিস্টেমটি চালুর ফলে কাজের স্বচ্ছতা বৃদ্ধির সাথে সাথে দ্রæততম সময়ের মধ্যে সেবা গ্রহীতার মাঝে সেবা পৌছে দেওয়ার সুযোগ তৈরী হয়েছে। একে সাধারন মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহারের প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।