বিশেষ প্রতিনিধি : | বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় রেলমন্ত্রী
পঞ্চগড়বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও ভারতের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
বুধবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেছেন, রেল যোগাযোগের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে রেল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে সারাদেশে পরিকল্পিতভাবে আধুনিক ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করে চলেছে সরকার।
তিনি বলেন, চারদেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা সংবলিত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করা হলে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ বহুমাত্রিক সফলতা অর্জন সম্ভব হবে।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, পঞ্চগড়বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও ভারতের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে আটটি পয়েন্টে রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল ইতোমধ্যে পাঁচটি চালু করা হয়েছে। অচিরেই বাকি তিনটি চালু করা হবে।
তিনি বলেন, আগামী ৫০ বছর পর যে উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ তৈরি হবে সেই কথা বিবেচনা করে বাংলাবান্ধা স্টেশনের পাশে আধুনিক শপিং মল তৈরির সমীক্ষায় রাখা হয়েছে।
সভায় পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ও রেলওয়ের পরিচালক (প্রকৌশল) আবু জাফর মিয়া সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মূল রিপোর্ট উপস্থাপন করেন।
ভারতের শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণে দুটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা সমীক্ষা করবে এটা। এর মধ্যে একটাতে ১১ কিলোমিটার অন্যটিতে ৪.৪৭ কিলোমিটার প্রস্তাব করা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের সমীক্ষা ও নকশা সম্পন্ন হয়েছে।
পরে রেলমন্ত্রী পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেললাইন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
Posted ১২:৩২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি