| শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯
অনলাইন ডেস্ক : দেশে ফিরে যেন প্রাণ ফিরে পেলেন সৌদির নির্যাতিতা বাংলাদেশী তরুণী সুমি আক্তার। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় এয়ার এরাবিয়ার জি৯-৫১৭ নম্বর ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সৌদি আরবে নিয়োগকর্তার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশি নারী শ্রমিক সুমি আক্তার (২৬)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুমির স্বামী নূরুল ইসলাম বলেন, ‘সুমি দেশে ফেরায় খুব ভালো লাগছে, তেমনি কষ্টও লাগছে। কারণ, ভাগ্য বদলের আশায় সৌদি গিয়েছিল সুমি, এখন খালি হাতে ফিরছে।’
এর আগে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কার্যালয় প্রধান মোস্তফা জামিল খান জানিয়েছিলেন, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় ৭টায় সুমি ঢাকায় পৌঁছাবেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সচ্ছলতার আশায় দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে পাড়ি জমান বাংলাদেশের মেয়ে সুমি আক্তার। বিনামূল্যে বিদেশে পাঠানোর কথা বললেও ভালো টাকা আয়ের লোভ দেখিয়ে দালালরা তাকে বিক্রি করে দেয়।
সৌদি আরব যাওয়ার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই মারধর আর যৌন হয়রানিসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন সুমি। সম্প্রতি ফেসবুকে ভিডিওতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সেই নির্যাতনের কথা তুলে ধরে দেশে ফেরার আকুতি জানান তিনি।
পরে জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের হস্তক্ষেপে সুমিকে নিয়োগকর্তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নাজরান পুলিশ। শুরুতে সুমির নিয়োগকর্তার দাবিকৃত ২২ হাজার সৌদি রিয়াল পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাকে ফাইনাল এক্সিট- অর্থাৎ দেশে ফিরতে দেওয়া হবে না বলে জানালেও পরে নাজরান শহরের শ্রম আদালতে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়।
আদালত সুমির দেশে ফেরার আবেদন মঞ্জুর করায় তার দেশে ফেরায় আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছিল জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়।
সুমি আক্তার পঞ্চগর জেলার বোদা সদর থানার রফিকুল ইসলামের মেয়ে। তার পরিবার জানায়, আগের স্ত্রীর কথা গোপন করে তাকে বিয়ে করে নুরুল ইসলাম। সেখানেও সতীনের নির্যাতনের শিকার হন তিনি। পরে উপার্জনের আশায় সৌদি আরবে গিয়েছিলেন সুমি।
Posted ৫:৩৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি