| সোমবার, ১১ মে ২০২০
দৌলতপুর(কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের বিভিন্ন জায়গার মত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলাও অঘোষিত লকডাউন চলছে। কখন এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে? এমন প্রশ্নের উত্তর কারো কাছে জানা নেই। দীর্ঘ দু’ মাস ধরে হোটেল রেষ্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় চরম কষ্টে দিন কাটছে কর্মচারি শ্রমিকদের। অনেকদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে মালিকরাও।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অবস্থিত প্রায় দুই শতাধিক হোটেল, রেষ্টুরেন্ট রয়েছে। এসব হোটেল রেষ্টুরেন্টে প্রায় ২ হাজার শ্রমিক কাজ করে। এখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে তাদের সংসার চলে। কিন্তু গত দু’মাস ধরে তারা বেকার বসে থাকায় অনেক কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটছে তাদের।
দৌলতপুর উপজেলার আল্লার দর্গা বাজারে অবস্থিত বেলাল হোটেল, রেষ্টুরেন্টের মালিক মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, রেষ্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় আমি অনেক ক্ষতির সম্মুক্ষিন হচ্ছি। আরো কতদিন এভাবে চলবে জানিনা। আমার এখানে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করে। এখন তাদের অনেক কষ্টে দিন কাটছে। কেউ তাদের সাহায্য সহযোগীতা করেনি।
একাধিক হোটেল শ্রমিক জানান, হাতে কাজ নেই, পয়সাও নেই। যতই সময় যাচ্ছে ততই আতঙ্ক বাড়ছে, আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়া তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। চারদিকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ হলেও তাদের ভাগ্যে এখনো কোন সাহায্য জোটেনি।
দৌলতপুর উপজেলা বাজারে নাজমূল হোটেল, রেষ্টুরেন্টের কর্মচারি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, দু’ মাসের বেশি সময় ধরে রেষ্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে। বাড়িতে যাওয়ার সময় মালিক যে টাকা দিয়েছে তা ১০দিনে খরচ হয়ে গেছে। এরপর থেকে অনেক কষ্টে আমাদের দিন যাচ্ছে। চারিদেকে ত্রাণ সামগ্রী দেয়ার কথা শুনেছি, ত্রাণ দেয়া তো দুরের কথা কেউ আমাদের একবার কেমন আছি জিজ্ঞেসও করেনি।
এই বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে আমরা সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তার জন্য ১৪ ইউনিয়নে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ১৩,৫৪০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। সামনে আরো নতুন তালিকা করা হবে তার মধ্যে রেষ্টুরেন্ট শ্রমিকের নাম তালিকাভুক্ত করা হবে। ক্রমান্বয়ে সবাইকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।
Posted ১১:২১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১১ মে ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি