| সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০
নাগরপুরে লকডাউনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন
মোঃকবির হোসেন নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
রাজধানী ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি হওয়ায় নানান কৌশলে নাগরপুরে আসছ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ ।
গত সপ্তাহের প্রথম থেকেই জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, কিংবা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল যোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন নাগরপুরে আসছে।
তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ী আবার অনেকে যানবাহন চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এদের নিজ এলাকায় অবাধ বিচরনের ফলে মারাত্বক ঝুঁকির মুখে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী ।
উপজেলা প্রশাসন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে দিন রাত পরিশ্রম করছে কিন্তু তারা স্বেচ্ছা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছে না। তারা নিজের ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ফলে গত এক সপ্তাহে করোনা আতঙ্ক বেড়েছে বহুগুণ।এতে নাগরপুর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলম চাঁদ জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে নাগরপুর থানা পুলিশ প্রত্যেক বাজারে বাজারে কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয় ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় নাগরপুরের বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষদের উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে। সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে এদের রোধ করা দুস্কর। বাইরে থেকে আসা লোকজনকে সরাসরি সাহায্য করছে এলাকার মানুষ যার ফলে সহজেই পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে এলাকায় ঢুকছে। তবে আমরা এরকম বহিরাগতদের প্রতিহত করতে সাবধানতা অবলম্বন করছি। মনিটরিং বাড়িয়ে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘নানা কৌশলে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে কিছু লোক এসেছেন। তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতন করা হচ্ছে। এ ছাড়া তাদের সংস্পর্শে কাউকে না যাওয়ার জন্যও সবাইকে বলা হচ্ছে। এর পরও যদি তারা প্রশসনের নির্দেশনা না মানে তাহলে তাদের উপজেলা সদরে স্থাপিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে রাখা হবে।
Posted ১১:১২ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি