| শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার: হিমালয়ের হিম বাতাসের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। ঘন কুয়াশার কারনে গতকাল শুক্রবার থেকে সূর্যের দেখা নেই। ফলে নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছে চরম বিপাকে।
শনিবার(২১ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার ৫ উপজেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কনকনে শীতে বড় অসহায়ত্বে মাঝে জীবন যাপন করছে খেটে খাওয়া মানুষরা। এছাড়াও শীত থেকে একটু খানি রক্ষা পাওয়ার আসায় অনেকেই বাড়ি কিংবা ফুটপাতে খরখুটা জ্বালিয়ে সময় পার করতেছেন।
এদিকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়,আজ সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস সূত্রে আরো জানা যায়,আগামীকাল তাপমাত্রা আরো নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা যায়।
আকাশে সূর্য দেখা না দেয়ায় হিমেল বাতাস বইছে ফলে ঘর থেকে বের হচ্ছে না অনেকেই তবে সাধারন মানুষরা যারা জীবিকার তাগিদে বাইরে কাজ করেন তারা এই কনকনে শীতে পড়েছে চরম দূর্ভোগে।
এবিষয়ে জেলার সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের ভ্যানচালক আঃ রহিম জানান,’সকাল থেকে বসে আছি অথচ ২/১জন যাত্রী, শীতের কারনে অনেকেই বাড়ি বাইরে বের হচ্ছে না ফলে আমরা বেকার সময় পার করতেছি’।
একই দূর্ভোগের কথা জানান, জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার মহানন্দা নদীর পাথর উত্তোলন শ্রমিক আবদুর রহমান, তিনি জানান,গতকাল থেকে আকাশে নেই কোন সূর্যের আলো ফলে কনকনে শীতে নদীর ঠান্ডা পানিতে কাজ করতে না পারে আমরা গতকাল থেকে বেকার সময় পার করতেছি’।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৮ হাজার শীতবস্ত্র জেলার ৫টি উপজেলায় বিতরণ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম বলে জানান সচেতন মহল।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া অাবহাওয়া পর্যবেক্ষণগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান,’গতকাল থেকে শীতের তীব্রতা অনেক বেশী। হিমালয়ের হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারনে আজ শীতের তীব্রতা বেড়েছে’।
Posted ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি