| শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
টাংগাইল : প্রায় চার বছর ধরে কর্মস্থলে গড়ে উঠা সম্পর্ক। সে সম্পর্কের প্রেমের টানে নেপাল থেকে এবার টাঙ্গাইলের সখীপুরে এসেছেন সানজু কুমারী খাত্রী (২০) নামের এক নেপালি তরুণী। উপজেলার কাকাড়াজান ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের হুমায়ুন কবীবেরর ছেলে প্রবাসী নাজমুল হোসেনের বাড়িতে এসেছেন তিনি।
সানজু কুমারী খাত্রী (২০) নামের ওই তরুণী প্রায় চার বছর ধরে মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানীতে কাজ করার সময় একে অপরের সঙ্গে চেনা জানা হয়। বাংলাদেশে আসার পর তারা দু’জনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। নেপালি তরুণী গত ১৫ দিন আগে তার দেশ থেকে নাজমুলের সঙ্গেই বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানিয়েছে ওই পরিবার। এ সংবাদ শুনে তাদের দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছে অনেক মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঙালি নারীর মতো স্বাভাবিক কাজ-কর্ম করছে ওই নেপালিয়ান নারী। হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সানজু কুমারী খাত্রী থেকে তার নাম রাখা হয়েছে খাদিজা। সে বাঙালি আচার আচরণ ও পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করলেও ভাষাগত কিছু সমস্যায় আছে। বাংলা ভাষা বুঝলেও বলতে কিছুটা সমস্যা হয় বলে জানান নাজমুল।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নেপালি আদালতেও তাদের বিয়ে হয়েছে। তারপর টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কোর্ট ম্যারেজ করেন এবং স্থানীয় এক নিকাহ রেজিস্টার দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়েছে। নেপালের কাঠমুন্ড শহরেই মেয়েটির বাড়ি সেখান থেকে পারিবারিক সম্পর্ক ছিন্ন করে নাজমুলের হাত ধরে বাংলাদেশে আসে।
খাদিজা আক্তারের নেপালি ভাষার অনুবাদ করে নাজমুল বলেন- বাংলাদেশর সংস্কৃতি ও গ্রাম্য পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। নাজমুলকে অনেক ভালোবাসি। আমি আর নেপালে ফিরে যাবো না। নাজমুল বলেন- একটি হিন্দু মেয়ে আমাকে ভালোবেসে মুসলমান হয়ে আমাকে বিয়ে করেছে এবং দেশ ত্যাগ করে বাংলাদেশে এসেছে। আমি ওর প্রতি কৃতজ্ঞ। সবার কাছে আমাদের জন্য দোয়া চাই।
নাজমুলের বাবা হুমায়ুন কবীর বলেন- ছেলের বউ দেখে আমরা খুব খুশি হয়েছি। ওদের আনন্দেই আমরা আনন্দিত।
Posted ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি