তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : | সোমবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২০
কুষ্টিয়ায় রাতের অন্ধকারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ায় কৃষকলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কৃষকলীগ। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার চৌরাস্তা বাজারের কৃষকলীগের আয়োজনে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে তেতুলতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলা কৃষকলীগের জুলফিকার আলী জুয়েলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন। কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন বক্তবে বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যারা মেনে নেয়নি, সেসব স্বাধীনতা বিরোধী, সাম্প্রদায়িক, উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী বিএনপি-জামায়তের ইন্দনে কুষ্টিয়ায় রাতের অন্ধকারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলেছে।
তিনি আরও বলেন, মুর্তি আর ভাস্কর্য এক নয়। মুর্তি হলো যারা পুজা করে। আর ভাস্কর্য হচ্ছে দেশের জাতীয় নেতা, কবি-সাহিত্যিককে স্মরণীয় করে রাখার শিল্পকর্ম। বিশ্বে বহু মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ, পাকিস্তানের কায়েদ আজম জিন্নাহ, ইরাকে সাদ্দাম হোসেন, সৌদি আরবের বাদশা ফয়সাল ও লিবিয়ায় কর্ণেল গাদ্দাফির শতশত ভাস্কর্য রয়েছে। অথচ বাংলাদেশ সকল ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশ। বাংলাদেশ মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টানদের দেশ। সম্প্রীতির দেশ। তাহলে আমাদের বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য থাকবে না কেন? দেশকে অরাজকতায় ফেলতে এরা মেতে উঠেছে। এ বাংলার মাটিতে তা কোনদিন হতে দেয়া হবে না। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের এসব রাজাকার, দেশদ্রোহীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি তাজিরুল ইসলাম তাজু বক্তব্যে বলেন, যার হাত ধরে দেশ স্বাধীন হয়েছে, তার নামে ভাস্কর্য নির্মাণে বাধা, সে নির্মিত ভাস্কর্যে আঘাত করা মানে বাংলাদেশের উপর আঘাত হানা। যা স্বাধীন দেশে মেনে নেয়া যায় না। এসব যারা করেছে তারা দেশদ্রোহী ও রাজাকার। এসময় প্রধান বক্তা তাজিরুল ইসলাম তাজুও ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের মধ্যে দোষীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি করেন।
এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মন্ডল, সদর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আনিছুর রহমান, শালবাহান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম লালু, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল বাসেত, যুবলীগের আতাউর রহমান ও ছাত্রলীগের সভাপতি সোহান প্রমুখ।
এছাড়াও প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে কৃষকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের শতশত নেতাকর্মী অংশ নেন।
Posted ৪:৫৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি