| বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস থেকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে জয় বাংলা সর্বস্তরে ব্যবহারের মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার দাবিতে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানিকালে মঙ্গলবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বর বা পরবর্তীতে যেকোনো জাতীয় দিবসে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রের শীর্ষপর্যায় থেকে সর্বস্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তি তাদের ভাষণ ও বক্তব্যের শেষে জয় বাংলা স্লোগান হবে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি আগামী ১৪ জানয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আদালতে এ বিষয়ে মতামত দেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আবদুল মতিন খসরু ও এএম আমিন উদ্দিন। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী বশির আহমেদ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বাশার আরও জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমাদের সাবশন ছিল সংবিধানের ৩ ও ৪ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রভাষা বাংলা, রাষ্ট্রের প্রতীক, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা সব আছে, কিন্তু জাতীয় সেøাগান নেই এবং সংবিধানের ৫০(২) অনুচ্ছেদ অনুসারে ৭ মার্চের ভাষণকে যেহেতু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, ওই ভাষণের শেষে জয় বাংলা শব্দ আছে। তাই জয় বাংলা এই সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাষ্ট্রপক্ষ লিখিতভাবে আবেদনকারীর আবেদনে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার দাবিকে সমর্থন করেছে।
পরে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সাংবাদিকদের বলেন, জয় বাংলা ছিল আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূলমন্ত্র। যে স্লোগান দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন, জীবন দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন। তাই জয় বাংলাকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় সেøাগান হিসেবে ব্যবহার করা হোক। অনেক দেশে এট আছে। আমাদের আইনজীবী মহলেরও এ দাবি নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। সুতরাং জয় বাংলা সেøাগানকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করে জাতীয় সেøাগান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বলেছি। সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে দলমত নির্বেশেষে সবার হৃদয় উৎসারিত শব্দ ছিল জয় বাংলা।
২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রুলে জয় বাংলাকে কেন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। প্রায় দুই বছর পর গত ৫ ডিসেম্বর থেকে এ রুলের শুনানি শুরু হয়।
Posted ২:৫০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি