রাজশাহী ব্যুরো : | সোমবার, ০২ নভেম্বর ২০২০
দেশে শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। বাসা-বাড়ী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে যানবাহন, কোথাও শিশুরা নিরাপদ নয়। প্রতিদিনই কম-বেশি শিশু নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা গণমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে। গতানুগতিক নির্যাতনের সাথে যোগ হয়েছে ধর্ষণ, খুন এবং অপহরণ। বিশেষ করে, ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) অত্র জেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ নারী ও শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে।
মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে লফস সংস্থার ডকুমেন্টেশন সেল থেকে রাজশাহীর প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার সংবাদের ভিক্তিতে নিয়মিত নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি প্রকাশ করে। লফস মনে করে অত্র অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে। যৌতুক ও পরকীয়ার কারনে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি কিছু টিভি সিরিয়াল পরকিয়াকে উৎসাহিত করছে।
এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারনে হত্যা-আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। বিষয়গুলো কারও জন্য সুখকর নয়। জানুয়ারী-অক্টোবর বিগত ১০ মাসে অমানবিক কিছূ ঘটে যাওয়া ঘটনার চিত্র – হত্যা শিশু-৪ জন,আত্বহত্যা শিশু-২২জন,আত্বহত্যা চেষ্টা শিশু-৪জন,ধর্ষন শিশু-৩০জন,ধর্ষন চেষ্টা শিশু-১২জন,ধর্ষণের পর আত্মহত্যা শিশু-২জন,পর্ণগ্রাফী শিশু-২জন,যৌন নির্যাতন শিশু-৫জন,নির্যাতন শিশু-২৯জন,অপহরণ শিশু-৬জন,নিখোঁজ শিশু-১১জন,ভিকটিম এসিড শিশু-৩জন।
লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায়। রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশাজনক।
রাজশাহী অঞ্চলে নারী – শিশু নির্যাতন সহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তিনি বলেন অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। লফস সকল নারী-শিশু নির্যাতন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবী জানান।
Posted ১১:০১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০২ নভেম্বর ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি