রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ- | সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০
উপজেলায় সরকারী উন্নয়ন মুলক কাজের সংবাদ, বিভিন্ন দপ্তরের অনিয়ম-দূর্নীতি, জন-দুর্ভোগ, সরকারী হাটে অতিরিক্ত ইজারা আদায়সহ বিভিন্ন বিষয়ের সংবাদে কোন বক্তব্য নিতে চাইলে বক্তব্য দিতে চান না ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী আফরিদা। এমনকি তার পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে সাধারণ তথ্য নিতে গেলেও অনেক ঝামেলার স্বীকার হতে হয় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের ।
বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে তথ্য দিতে টালবাহানা করার অভিযোগও রয়েছে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এ ক্ষেত্রে সংবাদ পরিবেশনে অনেক বেকায়দায় পড়তে হয় উপজেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের।
এ নিয়ে সোমবার (১২অক্টোবর) ইউএনও মৌসুমী আফরিদা,প্রেসক্লাব সভাপতি ফারুক আহাম্মদ সরকার,সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীরা তার কার্যালয়ে এক বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে সাংবাদিকদের ফোন না ধরা, সংবাদে বক্তব্য না দেওয়া সহ সম-সাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইউএনও’কে প্রশ্ন করলে তিনি সে-সবের কোন সদুত্তর বা সুরাহা না দিয়ে মিটিং আছে বলে সংবাদকর্মীদের সাথে বসা বৈঠক থেকে দ্রুত উঠে পড়েন।
ইউএনও’র এমন অনাকাংখিত আচরণ নিয়ে তাৎক্ষনিক রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবে এক জরুরী সভা হয়। সেই সভা থেকে উপজেলা প্রশাসনের সকল সংবাদ বর্জনের ঘোষনাসহ পরবর্তীতে আলোচনা করে তার এমন আচরণের বিরুদ্ধে কর্মসুচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় বলে জানান প্রচার সম্পাদক বিজয় রায়।
এ সময় সভাপতি ফারুক আহাম্মদ সরকার বলেন, তিনি চরমভাবে সংবাদকর্মীদের হয়রানী করেন। যে কোন সংবাদে তিনি তো বক্তব্য দিতে চান না।এমনকি ফোন দিলেও ধরেন না। র্দীঘদিন ধরে তার এমন আচরণ দেখছি।
সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, সংবাদকর্মীরা অনেক পরিশ্রম করে শরীরের ঘাম ঝড়িয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে। এমন কিছু সংবাদ রয়েছে যে সংবাদে ইউএনও’র মন্তব্যটা অতি জরুরী, না হলে সংবাদটি পরিবেশন করায় দুস্কর। এমন সংবাদগুলোতেও তিনি কোন মন্তব্য করতে চান না। তাছাড়াও ফোন না ধরার অভিযোগ তো রয়েছেই।
Posted ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি