| বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২০
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি: পৌষের শেষ সকালে সূর্যের আলো দিন ভরে রাখলেও কিন্তু রাত ও ভোর পর্যন্ত অনুভূত হয় কনকনে ঠান্ডার প্রকোপ। গত তিন দিন ধরে দিনের বেলায় রোদ থাকলেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোর ৬টায় ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও সকাল ৯টায় এসে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায়। যা গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে শীতের তীব্র ঠান্ডায়
কেঁপেছে উত্তরের তেঁতুলিয়া।
কয়েক দিন দিনের বেলায় রৌদ্রজ্জ্বল দেখা দিলেও সন্ধ্যা নামতেই জেকে বসে শীত। রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে শীতের প্রকোপও। দিনের বেলায় সূর্যের আলো থাকলেও সে রোদে মিলে না তেমন উষ্ণতা। প্রায় সারাদিনই হিমালয়ের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে প্রবাহিত হয় ঠান্ডা বাতাস। শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে দুর্ভোগও বাড়ছে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের। প্রয়োজনীয় সংখ্যক শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে রাত কাটে এসব নিম্ন আয়ের মানুষের। খড়কুটো জ্বালিয়ে তারা শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। রাত ৯টার পর পরই রাস্তা ঘাট হাঁট বাজার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তেতুঁলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারনে হিমাঞ্চলে
পরিণত হয়েছে তেঁতুলিয়া। নতুন বছরেও সর্বনিম্নতাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে তেঁতুলিয়ায়। আজ সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছর ২০১৮ সালে ২২ জানুয়ারীতে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি শীত অনুভূত এ অঞ্চলে। যা ছিল ৫০ বছরের রেকর্ড।
Posted ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি