| রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০
লালমনিরহাট সংবাদদাতাঃ লালমনিরহাটে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জনসাধারণকে সুরক্ষার জন্য ইতোমধ্যে দোকান পাঠ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিনা প্রয়োজনে লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ উপার্জনহীন হয়ে পড়ায় লালমনিরহাট জেলা পরিষদের বরাদ্দ থেকে জেলা পরিষদ সদস্যা নিলুফা ইয়াসমিন কে ১০০ পরিবারের জন্য চাল দশ কেজি, তেল হাফ কেজি, লবন হাফ কেজি, আলু তিন কেজি করে খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ দেন।
তিনি ওই বরাদ্দ নিয়ে দলগ্রাম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ফকিরপাড়া এলাকার একই জায়গায় শনিবার (১১ এপ্রিল) ৮০ জনের মাঝে বিতরণ করেন। বিতরণের সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার কেউ উপস্থিত ছিলেন না। শুধু তাই নয়, তিনি ১০ কেজি চালের পরিবর্তে ০৮ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
চাল কম পাওয়ার বিষয়ে ফকিরপাড়া এলাকার জোবেদা বেগমসহ অনেকে জানান, তিনি চাল পাওয়ার পর বাড়িতে এসে মেপে দেখেন ১০ কেজি চালের পরিবর্তে ০৮ কেজি হয়েছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, খ.ম. শফিকুল আলম জানান, আমি এ বিতরনের বিষয়ে কিছুই জানিনা। একই কথা বললেন, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোফাজ্জল হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, জেলা পরিষদের সদস্যা তার পছন্দমত লোকদের মাঝে খাদ্যসাম্রগী বিতরণ করেন। যারা ইতোমধ্যে ১০ টাকা কার্ডের চাল পায় তাদের মাঝেও তিনি ওই চাল বিতরণ করেন। ফকিরপাড়া এলাকার কয়েকজন ভিক্ষুক ওই সদস্যার কাছে চালের জন্য আসলে তিনি তাদেরকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেন।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্যা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় ১০০ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী উপার্জনহীন মানুষের মাঝে বিতরণ করার জন্য দিলে আমি ১০৪ জনের মাঝে সাড়ে নয় কেজি চাল, হাফ কেজি তেল, হাফ কেজি লবন, তিন কেজি আলু বিতরণ করি। ১০ কেজি চালের পরিবর্তে হাফ কেজি চাল কম দিয়ে বাড়তি আরো ৪ জনকে বিতরণ করি।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ বিপুল চন্দ্র রায় জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে নিয়ে ১০ কেজি চাল,হাফ কেজি তেল,তিন কেজি আলু,আমিও ১০০ জনের মাঝে বিতরণ করেছি।
Posted ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি