| সোমবার, ১৮ মে ২০২০
মোঃ মাসুদুর রহমান শেখ বেনাপোলঃ কালের আর্বিরভাবে প্লাষ্টিকের দৌরাত্নে আজো বিলীন হয়ে যায়নি শার্শা উপজেলায় বাঁশ বেতের তৈরি পন্য সামগ্রী।পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় করোনা দূর্যোগের এই সময়েও বাঁশ বেতের নানান পন্য আগ্রহ নিয়ে কিনছে ক্রেতারা। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়েও বাইরের গ্রামগজ্ঞের হাট-বাজারে এসব পন্য বিক্রয় হচ্ছে।বর্তমানে এই উপজেলার প্রায় শতাধিক পরিবার এসব বাঁশ বেতের বিভিন্ন পন্য তৈরি ও বাজারজাত করে সাংসার চালায়।
তারা বলছেন এই পন্যে আরো উৎকর্ষ সাধন করতে পারলে এবং পন্যের মান উন্নত করতে পারলে এসব পন্য বিদেশেও রপ্তানী করা সম্ভব। কাজের পরিসর আরো বড় করতে তাঁরা কামনা করেছেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। উপজেলার বেনাপোল পৌরসভার বাঁশ বেতের কারিগর শ্রী রগু দাস ও সাগরিকা ছাড়াও আরো প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার এই বাঁশ বেতের উপর নির্ভর করে টিকে আছে।বাজারের ষ্টেশন রোড কারিগর রগু দাসের বাঁশ বেতের তৈরি বিভিন্ন পন্য বিক্রির একটি দোকান রয়েছে।
শার্শা বাস ষ্টানএর সামনে নলি দদাশ ও উত্তম ঘোষ খোলা আকাশের নিচে অনেক রকমের তৈরি জিনিষ পত্র বিক্রয় করে থাকে।প্রতি শুক্র ও সোমবার হাটবার ছাড়াও সপ্তাহের প্রতিদিন তিনি এসব পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেন। তার দোকানে কৃষককের জন্য রয়েছে ছোট বড় নানান সাইজের মাতাল বা টুকা। ছোট মাতালের দাম ৮০ /- বড় গুলোর দাম মানভেদে ১০০টাকা,দৌলনা ২০০ থেকে২৫০ টাকা।
এছাড়া গৃহস্থালির জন্য আছে ঝাকা, কুলা, ডালি, টোপা, ঝাটা, খাচা,চালন, গরুর ঠুসি,দৌলনা ও বারোনসহ গৃহস্থলী আরো বিভিন্ন প্রকার পন্য রয়েছে তাদের দোকানে। তিনি প্রতিদিন প্রায় এক হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হয়ে থাকে।কারিগর বিশ্বজিত দাস জানায়, তাদের গ্রামের অধিকাংশ লোকই এই পেশায় জড়িত। তবে তারা অধিকাংশই বাঁশ বেত দিয়ে মাছ ধরা বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে থাকে। তবে এখন বর্ষার মৌসুম না আসায় তারা গৃহস্থলী এসব পন্য তৈরি ও বিক্রি শুরু করেছে।
বর্ষা এলে সবাই মাছ ধরার খোলসুন,ভাড়, ঘুনি,আটোল,ঝাজরি ও পোল সামগ্রি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। এবং গ্রামের সবাই এখন সমৃদ্ধশালী। ক্ষুদ্র এসব ব্যবসা করে সবারই রয়েছে ছোট বড় পাকা বাড়ি। সব মিলিয়ে তারা বলছেন এই পন্যে আরো উৎকর্ষ সাধন করতে পারলে এবং পন্যের মান উন্নত করতে পারলে এসব পন্য বিদেশেও রপ্তানী করা সম্ভব। তাই পরিসর আরো বড় করতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দরকার বলে তারা মনে করছেন।
Posted ১১:১০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৮ মে ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি