| শুক্রবার, ০৮ মে ২০২০
মুন্সিগঞ্জ সংবাদদাতাঃ
দক্ষিণবঙ্গের মুল প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে শুক্রবার(৮ মে) ঢাকাগামী যাত্রীদের স্রোত নেমেছে। সকাল থেকে হাজার হাজার যাত্রী ফেরি ও ট্রলারে পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা গেছে।
পোশাক কারখানা খোলার পর থেকে ঈদের কেনাকাটায় শপিং মল খুলছে এমন খবরের পর দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলো থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে। ফেরি ও ট্রলারে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা।
এদের বেশির ভাগই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী।
পদ্মা পাড়ি দেওয়ার পর শিমুলিয়া ঘাট থেকে অটোরিকশা, মিশুক আর রিকশায় করে সড়কে ভেঙে ভেঙে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের কর্মস্থলে ছুটছেন যাত্রী সাধারণ।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ছোট যানবাহনগুলোও কর্মস্থলে ফেরার একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের কাছে। এতে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া নৌফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবীর জানান, সকালের দিকে রো-রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, শাহ মখদুম ও ছোট ফেরি রানীক্ষেত কাঁঠালবাড়িঘাট থেকে যাত্রীবোঝাই করে ছেড়ে আসে শিমুলিয়া ঘাটে। ফেরিগুলোতে জরুরি সেবার যানবাহন ছাড়াও অসংখ্য যাত্রী ছিল। গাদাগাদি করেই যাত্রীরা ফেরিতে করে শিমুলিয়া ঘাটে ছুটে আসছেন তারা।
চাকরিজীবীরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন। এ অবস্থায় যাত্রী স্রোতে পরিণত হয়ে উঠে শিমুলিয়া ঘাট।
ফেরি ছাড়াও ট্রলারে করে যাত্রী পারাপার হচ্ছে। ট্রলার গুলো ঘাটের বাইরে নোঙর করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, দিনের বেলায় ৩ থেকে ৪ টি ফেরী দিয়ে সীমিত আকারে নৌরুটে পারাপার অব্যাহত রয়েছে। তবে রাতে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হয়ে থাকে। দিনের বেলায় জরুরি সেবার যানবাহন ছাড়াও ফেরিতে হাজারো যাত্রী আসছে বলে ঘাটের এ কর্মকর্তা জানান।
Posted ১২:২৫ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৮ মে ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি