নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
আদালতে আজ কাজলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন কুমার বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।
অন্যদিকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় করা দুই মামলায় তার জামিন প্রশ্নে রুল শুনানির জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদলত। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আইনজীবী রিপন কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘আইনে আছে, মামলা তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৭৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাকে সাইবার ট্রাইব্যুনাল থেকে অনুমতি নিতে হবে। দুই মামলায় ৭৫ দিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে দুই তদন্ত কর্মকর্তা সময় বাড়ানোর জন্য ট্রাইব্যুনাল থেকে অনুমতি নিয়েছেন কি না, তা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া তদন্তের জন্য ৭৫ দিনের মেয়াদ শেষে সময় বাড়াতে অন্য কেউ অনুমতি নিয়েছেন কি না, তা ট্রাইব্যুনালকে জানাতে বলা হয়েছে।’
শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় কাজলের জামিন প্রশ্নে গত ১৯ অক্টোবর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল দিয়েছিলেন। অপর দুই মামলায়ও তার জামিন প্রশ্নে রুল দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে সাংবাদিক কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে গত ১০ মার্চ শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলা করেন সংসদ সদস্য সাইফুজ্জমান শিখর। একই আইনে কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রী আলাদাভাবে আরও দুটি মামলা করেন।
গত ১১ মার্চ ঢাকার চকবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে ‘নিখোঁজ’ হয়েছিলেন কাজল। ৫৩ দিন পর গত ২ মে গভীর রাতে যশোরের বেনাপোলের সাদীপুর সীমান্তে একটি মাঠ থেকে কাজলকে উদ্ধার করা হয়। পরে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিজিবির করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
Posted ১:১১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি