শফি উদ্দিন সিদ্দিকী | রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিটি দিনই ছিল আমাদের ভালোবাসার। আমাদের মধ্যে কোন লোভ লালসা কাজ করতো না। অর্থবিত্ত আমাদের আকৃষ্ট করতো না। কেবল বাংলাদেশের অধিকৃত সীমানা মুক্ত করে বাংলাদেশের সীমানা বাড়ানোই ছিল আকাঙ্খা। দেশমাতৃকাকে মুক্ত করাই ছিল একমাত্র বাসনা।
পাকিস্তান অধিকৃত এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের অপারেশন করতে হতো। অপারেশনে গিয়ে পাকিস্তান বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ হলে বাংলার আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবাই মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিতেন, খাওয়াতেন,নিরাপত্তা দিতেন। সন্তানের মতো স্ত্রীর পাশে শোয়ায়ে মুক্তিযোদ্ধার জীবন রক্ষা করেছেন।
্
আজকের বাংলাদেশের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। অর্থবিত্ত কাউকে কাউকে গ্রাস করেছে। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েও টাকার আকাঙ্খা মিটে না। সারা বাংলাদেশ গ্রাস করে জমি দখলের সাধ মিটে না। আমরা ভুলে যাই আমাদের এক একজনের দরকার মাত্র সাড়ে তিন হাত জায়গা।
চারিত্রিক অধঃপতন হয়েছে আমাদের। ৪/৫ বছরের মেয়ে শিশুটিকে নিয়েও মা বাবা শংকাবোধ করছেন। ৫০ বছর আগের কথা, মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কথা আমি বলেছি। মানুষের নৈতিকতা আজ নিম্নমুখী। কারো উপকারে কেউ এগিয়ে আসেন না।
অপ্রিয় হলেও সত্য, মুক্তিযুদ্ধকালে আমাদের মন মানসিকতা যদি এখনকার মতো থাকতো তাহলে বাংলাদেশ কোনদিন মুক্ত হতো না। আজও পাকিস্তানের অধীনে থাকতে হতো (নাউজুবিল্লাহ)।
ভালোবাসা দিবসে বসন্ত এসে গেলো। ফুলে ফুলে আর বসন্তের পোশাকে সাজবে বাংলাদেশ। ফুল চাষ করে আমাদের কৃষক তাদের অর্থে’র চাহিদা মিটাবেন আর প্রিয়জনকে ফুল দিয়ে ভলোবাসা জানাবেন প্রিয় জুটিরা। এটা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। ফুলের মালা খোঁপায় বেঁধে কম বেশি বয়সের মেয়েরা শাহবাগ চারুকলা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘুরে বেড়াবেন। গান বাজনা শুনবেন। আনন্দ উল্লাস করবেন। বসন্তের শুভেচ্ছা সবাইকে।
ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে লিখতে গেলে লেখাটা অনেক বড় হয়ে যাবে। অনেকেই এ দিবস সম্পর্কে কম বেশি জানেন। Valentine’s Day বলি আমরা। আর নয়। শুভ ভালোবাসা দিবস।
আজ ভালোবাসা দিবস আর বসন্ত মিলে একাকার। সবাই উপভোগ করুন আপন আপন গণ্ডিতে।
লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা।
তেঁতুলিয়া,পন্ঞ্চগড়।
Posted ২:১৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি