| সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯
সুব্রত কুমার,বাঘা রাজশাহী :
রাজশাহীর বাঘায় প্রশাসনের অভিযান ১ ঘন্টার ব্যবধানে ২৫০ টাকার পেঁয়াজ প্রতিকেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।আজ ১৮ নভেম্বর সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বাজার মনিটরিং করতে গেলে প্রতি কেজিতে ৯০ টাকা কমে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজার সাথে উপস্থিত ছিলেন আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী, বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম, ছাড়াও আরও অনেকে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লা সুলতান বলেন, রাজশাহীর অঞ্চলে যে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে তার মধ্যে বাঘা উপজেলা অন্যতম।
এই উপজেলার সবখানে কমবেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এরমধ্যে বেশি উৎপাদন হয় উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে। যা স্থানীয় চাহিদা পুরণ করে দেশের অন্যত্রে রপ্তানী করা হয়। কিন্তু বর্তমানে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরী করে এর দাম বৃদ্ধি করেছে। এটি রোধ করার জন্য প্রশাসনের নজরদারির ইতিমধ্যেই হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা পৌর এলাকার স্থানীয় পেঁয়াজ ক্রেতা সুলতান সরকার বলেন, এক ঘন্টা আগে এই বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৪০-২৫০ টাকায়। অথচ প্রশাসনের লোকজন বাজার তদারকি করতে এসে দেখেন ৯০-১০০ টাকা প্রতিকেজিতে দাম কমে গেছে। এটা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ছাড়া আর কিছু না।
উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের স্থানীয় আরেক পেঁয়াজ ক্রেতা আবদুল মোমিন হোসেন বলেন, প্রশাসনের লোকজন প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করে এবং প্রতিটি পন্যের তালিকা ঝুলিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিলে এ সিন্ডিকেট আর থাকবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, এই উপজেলায় কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের বাড়িতে পেঁয়াজ মজুদ আছে, এমন খবরের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সার্থক হয়েছে। আমি নিজে বাঘা বাজার মনিটরিং করে সকল ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজসহ প্রতিটা পন্যের নাম লিখে চাট টাঙ্গিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এটি না করা হলে ভোক্তা অধিকার আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
Posted ১:২০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯
দৈনিক প্রথম দৃষ্টি | প্রথম দৃষ্টি